যাকাত ব্যবস্থাপনায় পথ শিশুদের পুনর্বাসনে ইসলামের দিক-নির্দেশনা
Abstract
যাকাত ইসলামের তৃতীয় ফরজ বিধান। সামাজিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় স্বচ্ছল মুসলমানদের উপর এ আর্থিক ইবাদত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইসলাম যে সমাজ ব্যবস্থা উপস্থাপন করেছে তাতে কোন ধরণের বৈষম্যের স্থান নেই। মানবতার সেবা ও কল্যাণ সাধনই ইসলামের শ্বাশ্বত লক্ষ্য। মহানবী সা. যাকাত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অসহায়-দরিদ্রঅভাবগ্রস্তদের দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন।
পথশিশুরা সমাজের সবচেয়ে নিষ্পিষ্ট, ভাগ্য বিড়ম্বিত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক বনিআদম। তারা ইয়াতিম, অভিভাবকহীন ও দুর্দশাগ্রস্ত। বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্নভাবে দেরকে যাকাত দিলে হবে না। তাদের প্রয়োজন সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন। আল-কুরআন ও আস-সুন্নাহ‘র দৃষ্টিকোণে প্রতিভাত হয় যে এসব বিপন্ন-নিগৃহীত অবুঝ শিশুরাই ইসলামের ফরজ বিধান যাকাতের সবচেয়ে বড় হকদার; যাকাতের ৪টি খাত যথা ফকীর, মিসকীন, গা-রেমীন ও ইবনুস সাবীল এর অনুকূলে তারা যাকাতের অর্থে লালিতপালিত হওয়ার উপযুক্ত। সুতরাং যাকাত ব্যবস্থাপনায় গৃহহীন পথে-প্রান্তরে ভাসমান শিশুদের পুনর্বাসন ও উন্নয়ন সাধন করাই ইসলামের অন্যতম দায়বোধÑশ্রেষ্ঠকর্ম সাব্যস্ত হয়। আলোচ্য প্রবন্ধে গবেষক যাকাত ব্যবস্থাপনায় পথশিশুদের পুনর্বাসনে ইসলামের দিক-নির্দেশনা সম্পর্কে সম্যক আলোকপাত করতে প্রয়াস পাবেন।